ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন কর্তৃক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ

গত ৯ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ফাদার চার্লস জে. ইয়াং সিএসসি’র ১২১তম জন্মদিন উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেছে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন।
ঢাকা ক্রেডিটের বিকে গুড কনফারেন্স হলে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর সিলভেস্টার রোজারিও‘র সঞ্চালনায় এবং চেয়ারম্যান ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়ার সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি এবং ঢাকা ক্রেডিটের সিইও জোনাস গমেজ, দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ (কাক্কো) লি:’র সিইও ডমিনিক রঞ্জন পিউরীফিকেশন।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর অপারেশনস এবং ঢাকা ক্রেডিটের সিও সুইটি শিশিলিয়া পিউরীফিকেশন, ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন জে. পি. রোজারিও, ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের সদস্য পিটার রতন কোড়াইয়া সহ ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকবৃন্দ।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া বলেন, “জাতি ধর্ম, বর্ণ সকলের জন্য যেনো কাজ করতে পারি সেই লক্ষে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়।”
“যুবকদের কর্মসংস্থান, দরিদ্র-মেধাবীদের পড়াশোনায় সহায়তা করাসহ অনেক কার্যক্রম ফাউন্ডেশনের রয়েছে। এই রচনা প্রতিযোগিতা তার ই একটি অংশ। আপনারা যে ৯৯ জন এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন আপনারা ইতিমধ্যে আমাদের ফাউন্ডেশন পরিবারের অংশ হয়ে গিয়েছেন। আমরা চাই ফা: চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় অবদান রাখতে পারবে,” বলেন হেমন্ত কোড়াইয়া।
ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন জে. পি. রোজারিও তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “যারা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং বিজয়ী হয়েছেন তাদের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “ফাউন্ডেশনটি আর্তমানবতার সেবা, শিক্ষা এবং যুবদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ঢাকা ক্রেডিটের অর্থায়নে ২০১৯ সালে আত্মপ্রকাশ করে এবং ২০২৩ সালে বাংলাদেশ এনজিও বিষয়ক ব্যুরো’র রেজিষ্ট্রেশন পায়।”
“যে উদ্দেশ্যে ও আদর্শকে নিয়ে ফাউন্ডেশন গঠিত হয়েছে সেই লক্ষে যেন আমরা দৃঢ় থাকি। আজকে এই রচনা প্রতিযোগীতা যেনো আপনাদের কর্মজীবনেও সহায়ক ভুমিকা পালন করে আমি তাই বিশ্বাস করি। সেই সাথে সকল শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি,” বলেন জে. পি. রোজারিও ।
আমরা আশা করছি ভবিষ্যতে এই ধরনের কার্যক্রমে আপনাদের কাছ থেকে আরও বেশী সাহায্য-সহযোগিতা পাবো।
এ বছর রচনা প্রতিযোগিতায় দু’টি বিভাগে সর্বমোট ৯৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে স্কুল পর্যায়ে অধ্যয়নরত প্রতিযোগির সংখ্যা ৬৭ জন এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অধ্যয়নরত প্রতিযোগির সংখ্যা ৩২ জন।
প্রতিযোগিতায় স্কুল পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বিষয়বস্তু ছিল ‘কল্যাণকর সমাজ গঠনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিষয়বস্তু ছিল ‘বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে সমবায়ের ভূমিকা’ যার মধ্যে স্কুল পর্যায়ে ১ম, ২য় এবং ৩য় হয়েছেন যথাক্রমে এমানুয়েলে লিখন হালদার, নাজিফা আক্তার সায়মা এবং দিপিকা ঘোষ।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ১ম, ২য় এবং ৩য় হয়েছেন যথাক্রমে মেহেনাজ আফরোজ পায়েল, পিয়াল মাইকেল কস্তা এবং রণীতা গরেট্টি রোজারিও।
অনুষ্ঠানে সভাপতি ও অন্যান্য অতিথিরা বিজয়ীদের হাতে সনদপত্র এবং পুরস্কার তুলে দেন।
স্কুল পর্যায়ে ৩য় স্থান অর্জনকারী দিপিকা ঘোষ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও বিজয়ী হওয়াতে আনন্দ প্রকাশ করেছেন এবং উপস্থিত সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
অন্যদিকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ১ম বিজয়ী মেহেনাজ আফরোজ পায়েলও এই আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। - ডিসিনিউজ