ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের ভাওয়াল অঞ্চলে গানের দল এবং উপাসনা কমিটির জুবিলী বর্ষ উদযাপন

গত ৮ আগষ্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, নাগরী ধর্মপল্লীর পানজোরাতে সাধু আন্তনীর তীর্থস্থানে ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের উপাসনা কমিশনের আয়োজনে ,ভাওয়াল অঞ্চলের গানের দল এবং উপাসনা কমিটির  সকল সদস্যদের নিয়ে  উদযাপন করা হলো জুবিলী বর্ষ ও তীর্থোৎসব।

উক্ত এই অনুষ্ঠানের মুলভাব ছিলো “জুবিলীর আনন্দে, বিশ্বাসের উৎসে”। ঐ দিন বৈরী আবহওয়া থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে উপাসনা কমিটি এবং গানের দলের সদস্যগণ সমবেত হন মহান সাধু আন্তনীর তীর্থ চত্বরে।

অনুষ্ঠানের  প্রারম্ভেই নাগরী ধর্মপল্লীর সদস্যদের  ক্ষুদ্র প্রার্থনা পরিচালনার মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করা হয়। এরপরে ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের উপাসনা কমিটির আহ্বায়ক শ্রদ্ধেয় ফাদার রুবেন গমেজ উপস্থিত সকল সদস্যদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন সেই সাথে ভাওয়াল অঞ্চলের পক্ষে ফাদার কুঞ্জন কুইয়া সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। ফাদার রুবেন গমেজ বলেন “ আমরা  প্রত্যেকেই আমাদের নিজস্ব ধর্মপল্লীতে উপাসনা কমিটি এবং গানের দল সন্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে আধ্যাত্নিক ভাবে বৃদ্ধি পেতে ধর্মপল্লীর পর্যায়ে বিভিন্ন কাজে আমাদের আরো সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে”।

অনুষ্ঠানের বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাদার পিটার শ্যানেল গমেজ। “জুবিলীর আনন্দে, বিশ্বাসের উৎসে” এই মূলভাবের উপর আলোকপাত করে তিনি উপাসনা, বাণীপাঠক, খ্রিস্টযাগ এবং উপাসনা সঙ্গীতের উপযোগিতা এবং অংশগ্রহণ বিষয়ে সহভাগিতা করেন।

 তিনি বলেন, “ খ্রিষ্টযাগ আমাদের খ্রিষ্টিয় জীবনের প্রাণকেন্দ্র। এই খ্রিস্টযাগের মধ্য দিয়ে আমা যিশুকে পাই। আর আমরা যারা এই উপাসনা কমিটি এবং গানের দলের মধ্যে আছি আমাদের দায়িত্ব হলো খ্রিষ্টযাগের প্রতিটি অংশকে গুরুত্ব দেওয়া সেই সাথে অন্যান্যদের ও এই বিষয়ে সচেতন করা ।

 বিশেষভাবে  সক্রিয় অংশগ্রহণ , সঠিক গান নির্বাচন, সেই সাথে নতুন খ্রিষ্টিয় সঙ্গীত খ্রিষ্টযাগে ব্যবহারের পদ্ধতিসমূহ নিয়ে ও  সহভাগিতা করেন ফাদার পিটার শ্যানেল গমেজ।  

এ অনুষ্ঠানের কার্যক্রমের মধ্যে আরো ছিলো প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং  বিভিন্ন ধর্মপল্লীর পক্ষ থেকে উপাসনা সঙ্গীতের প্রতিযোগিতা ।

দিনের কার্যক্রমের শেষে পবিত্র খিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ফাদার প্যাট্রিক শিমন গমেজ। উপাসনা কমিটির আহ্বায়ক শ্রদ্ধেয় ফাদার রুবেন গমেজের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে  সারাদিন ব্যাপী জুবিলীবর্ষ উদযাপন এবং তীর্থোৎসবের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

উক্ত এই জুবিলীবর্ষ উদযাপন এবং তীর্থোৎসবে বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে আগত ফাদার ,ব্রাদার , সিস্টারসহ প্রায় ৩০০ জনের মতো উপস্থিত ছিলো।

সংবাদ: ফাদার লিয়ন জেভিয়ার রোজারিও