পোপ লিও চতুর্দশ বলেন “আমাদের বয়স যাই হোক না কেন আশাই হল আমাদের জীবনে আনন্দের উৎস”

পোপ লিও চতুর্দশ বলেন “আমাদের বয়স যাই হোক না কেন আশাই হল আমাদের জীবনে আনন্দের উৎস”
খ্রীষ্ট জয়ন্তীর এই বছরে আগামী ২৭ শে জুলাই দিনটি বিশ্ব ঠাকুরদা - ঠাকুরমা এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত দিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
দিনটি উদযাপনের আগে পোপ লিও বলেন “আমাদের বয়স যাই হোক না কেন, আশাই হলো আমাদের আনন্দের উৎস।“ তিনি আরও বলেন “যখন সেই আশা দিনের পর দিন ক্ষীণ হয়ে আসে তখন তা গভীর সুখের উৎস হয়ে ওঠে।“
পুণ্যপিতা শাস্ত্র পাঠ থেকে আব্রাহাম, সারা, জাকারিয়া, এলিজাবেথ এবং মোশির কথা উল্লেখ করেন যারা প্রত্যেকেই ঈশ্বরের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য তাদের বৃদ্ধ বয়সে আহুত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন “ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ইতিহাস আমাদের দেখায় যে ঈশ্বরের দৃষ্টিতে বার্ধক্য হল আশীর্বাদ ও অনুগ্রহের সময় এবং বয়স্করা হলেন আশার প্রথম সাক্ষী। “
“মন্ডলীতে তথা সারা বিশ্বে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে তাদের অভিজ্ঞতা। তারা তাদের জীবনের সাক্ষী দিয়ে তরুণদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সাহায্য করেন।“
“বয়োজ্যেষ্ঠদের মধ্যে দিয়েই ধারাবাহিকভাবে বিশ্বাস, আধ্যাত্মিকতা, সামাজিক নৈতিকতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রবাহিত হয়ে চলে।“ তাই, তিনি বলেন “এই সমস্ত বয়স্কদেরও আশার প্রয়োজন রয়েছে।“
খ্রীষ্ট জয়ন্তী বর্ষকে মুক্তির বর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এই কথা স্মরণ করে তিনি আমাদের আশেপাশের সকল বয়স্ক ব্যক্তিরা যেন একাকীত্ব এবং নিঃসঙ্গ জীবনের মধ্যে নিমজ্জিত না হয়ে পড়েন সেইদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।