কলকাতা মহাধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত ‘সেকাকেন্দ্রে’ অনুষ্ঠিত হল “জুবিলি অফ ফ্যামিলিস

কলকাতা মহাধর্মপ্রদেশের অন্তর্পত ‘সেকাকেন্দ্রে’ অনুষ্ঠিত হল “জুবিলি অফং ফ্যামিলিস

বিগত ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, রবিবার কলকাতা মহাধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত সেকাকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হল জুবিলি অফ ফ্যামিলিস”, অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল কলকাতা আর্চ ডায়েমিসের ফ্যামিলি কমিশন

সকাল ৯টায় রেজিস্ট্রেশন শুরু হয় এই অনুষ্ঠানে প্রাম ১৭০ জন অংশগ্রহণ করেন। অনেক দূর-দূরান্ত থেকেও অংশগ্রহণকারীরা এসে উপস্থিত হন। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফাইল, নোটপ্যাড, পেন, বুকমার্ক, জুবিলি প্রার্থনা এছাড়া শিশুদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা হয় এই অনুষ্ঠানে 

সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে পঞ্চপ্রদীপ প্রজ্বলিত করে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়। কলকাতা আর্চ ডায়েসিসের ফ্যামিলি কমিশনের পরিচালক ফাদার পেপিন প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সকলের মধ্যে আশার সঞ্চার করেন এবং উপস্থাপনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের রূপরেখা সকলের সামনে তুলে ধরেন

অনুষ্ঠানের মূল পর্বে প্রথম অধিবেশনের আলোচনার বিষয় ছিল খ্রীষ্টিয় পরিবারগুলি কিভাবে বিশ্বকে আশা প্রদান করতে পারে। বাংলা, ইংরাজী ও হিন্দী- এই তিন ভাষাতেই এই বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়। এরপর চা-বিরতি। বিরতির পরে খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন কলকাতা মহাধর্মপ্রদেশের মহাধর্মপাল থমাস ডিসুজা। পরিবারের উপর তিনি বিশেষভাবে আলোকপাত করেন। খ্রীষ্টযাগের পরে আর্চবিশপ টমাস ডিসুজা, ফাদার এডওয়ার্ড, ফাদার পেপিন, ফ্যামিলি কমিশনের যারা প্রথম থেকে যুক্ত ছিলেন তাঁদের সংবর্ধনা প্রদান করেন।

মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পরে আকর্ষনীয় বিষয় ছিল 'প্রেমের ভাষা (Love Language). অংশগ্রহণকারীরা এই বিষয়টি অত্যন্ত আগ্রহের সাথে গ্রহন করেন। পরবর্তী অধিবেশনে 'প্যানেল আলোচনা করা হয় পাঁচটি বিষয়ের উপর এই বিষয়গুলি হল-

(১) গীর্জা ও  পৃথিবীর কাছে বিবাহ কিভাবে আশার প্রতীক হয়ে ওঠে। 

(২) কিভাবে ক্যাথলিক গির্জা ও বিশ্বাস, বিশ্বকে আশা প্রদান করতে পারে

(৩) কিভাবে ঈশ্বরের বানী বিবাহিত দম্পতি ও পরিবারকে আশা প্রদান করতে পারে

(৫) কিভাবে বৈবাহিক জীবন ও পরিবার কষ্টের মধ্যেও আশা প্রদান করতে পারে

(৫) কিভাবে যাজকীয় যত্ন' বিবাহিত দম্পতি ও পরিবারকে আশা প্রদান করতে পারে

আলোচনার পরে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। তারপর সিদ্ধান্ত সদ্ধান্ত গ্রহন' পরবর্তী কাজের রূপেরেখা নির্ধারণ করা হয়

পরিশেষে প্রার্থনা ও ধন্যবাদ জানিয়ে এই অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।

প্রতিবেদন- রেবেকা দে