বটমলী হোম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা ক্রেডিটের ৬৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা

গত ৩ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকার ফার্মগেট বটমলী হোম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা ক্রেডিটের ৬৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা।
সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণে এক আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা (ঢাকা ক্রেডিট)-এর বার্ষিক এই সাধারণ সভা।
সমিতির প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়ার সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাইকেল জন গমেজের সঞ্চালনায় এই বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, তেজগাঁও হলি রোজারি চার্চের পাল-পুরোহিত জয়ন্ত এস. গমেজ।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা (ঢাকা ক্রেডিট)-এর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ দিন সভাপতি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া ঢাকা ক্রেডিটের চলমান উন্নয়ন, কার্যক্রম এবং দিকনিদের্শনামূলক বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “বিগত বছর ঢাকা ক্রেডিটের মেঘা প্রকল্প ডিভাইন মার্সি হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন হয়েছে। ইতিমধ্যে মানুষ এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সন্তুষ্ট। প্রতি মাসেই হাসপাতালের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশা করি, শিঘ্রই নিজস্ব আয় দিয়ে হাসপাতালের ব্যয় নির্বাহ হবে।”

তিনি আরো বলেন, “সমবায়ীদের স্বাস্থ্যসেবায় অর্ন্তভক্ত করতে আমরা প্রায় ৬৫টি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি, আরো অনেক প্রতিষ্ঠান চুক্তিবদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।”
“বর্তমানে ঢাকা ক্রেডিটের প্রকল্পগুলো থেকে আয় আসছে। বর্তমান বোর্ড নিরলস পরিশ্রম করে সমিতির জন্য কাজ করছে। আশা করি, সবসময় আপনারা সহযোগিতা দিয়ে সমিতির উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবেন,” বলেন সভাপতি কোড়াইয়া।
মোছাম্মত নূর-ই-জান্নাত বলেন, “ঢাকা ক্রেডিটের এখন বিশাল কর্মযজ্ঞ। বর্তমান বোর্ড কিছুদিন পর বিদায় নিবে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বোর্ড আসবে। আশা করি ঢাকা ক্রেডিটের এই উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।”
অন্যান্য বক্তারা বলেন, “ঢাকা ক্রেডিট মাত্র দুই প্রোডাক্ট দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, কিন্তু এখন ৮৬টি প্রোডাক্ট এবং প্রকল্প রয়েছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় গর্ব এখন ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল লি:। ঢাকা ক্রেডিটের অনেক প্রজেক্ট রয়েছে যা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।”
তারা আরো বলেন, “আজকে আমরা বার্ষিক সাধারণ সভা করছি, সেই সাথে ৭০ বছরের পদযাত্রায়ও অংশ নিচ্ছি। সম্মিলীতভাবে আমাদের বিনিয়োগ প্রয়োজন, যাতে করে উন্নয়নের মাত্রা আরো বেগবান হতে পারে। আজকের এই বার্ষিক সাধারণ সভা সফল হোক।”
সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ বলেন, “সমবায় প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা লাভবান হচ্ছি, তাই এই সেক্টরকে আমাদের সুন্দরভাবে সাজাতে হবে। সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের ঢাকা ক্রেডিটকে এগিয়ে নিতে হবে।”
বক্তব্য পর্বের পর সাধারণ সভার কার্যসূচি অনুসারে ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিবেদন পেশ ও অনুমোদন, বার্ষিক হিসাব বিবরণী পেশ ও অনুমোদন করা হয়। এদিন সদস্যদের অংশগ্রহণে লটারী ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ২৫ জন সদস্যের ৫০ টাকা মূলধন ফাদার চার্লস জে. ইয়াং সিএসসি ঢাকা ক্রেডিট প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ঢাকা ক্রেডিটের প্রায় ৪৭ হাজার সদস্য এবং পরিসম্পদ ১৫শ কোটি টাকা। - ডিসিনিউজ