গত ২৩ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত লুইসপাড়া পবিত্র পরিবার ধর্মপল্লীর সৃজনশীল যুবসংঘের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী।
এই বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সৃজনশীল যুবসংঘের উপদেষ্টা জন পলাশ হাঁসদা, সহসভাপতি সঞ্জয় সরেন, সাধারণ সম্পাদক জ্যোতি মুরমু, সহসাধারণ সম্পাদক লরেন্স জন মারাণ্ডী ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জন বিধান মারাণ্ডী।
সৃজনশীল যুবসংঘের উপদেষ্টা জন পলাশ হাঁসদা বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে বলেন, “গাছ আমাদের পরম বন্ধু। কিন্তু গাছের নানাবিধ উপকারের কথা আমরা হরহামেশাই ভুলে যাই।”
“প্রয়াত পুণ্যপিতা ফ্রান্সিস পরিবেশ রক্ষার কথা প্রায়শই বলতেন। আর পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষার ক্ষেত্রে গাছ রোপণ করার বিকল্প কিছু নেই। সৃজনশীল যুবসংঘের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে স্বাগত জানাই,” বলেন হাঁসদা।
সাধারণ সম্পাদক জ্যোতি মুরমু বলেন, “কৃতজ্ঞতা শুধু মুখের কথায়ই নয়, এটা হৃদয়ের অনুভব। আজকের বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমকে সফল করতে জন পলাশ হাঁসদা, সুমি মুরমু, সাগেনেন টুডু ও উইলিয়াম রবিন হেম্ব্রমকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির জন্য যে অবদান রেখেছেন, তার জন্য অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই।”
বৃক্ষরোপণ মানব জীবন ও প্রকৃতির জন্য অপরিহার্য। এটি পরিবেশকে বিশুদ্ধ রাখে, কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে।
অন্যদিকে বৃক্ষরোপণ মৃত্তিকা ক্ষয় রোধ করে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সাহায্য করে, এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও, বৃক্ষরোপণ অর্থনৈতিকভাবেও লাভজনক হতে পারে।
উল্লেখ্য যে, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে ফলজ, ঔষধি ও বনজ গাছ রোপণ করা হয়।- জ্যোতি মুরমু
