কৃষ্ণনগর ধর্মপ্রদেশের চাপড়া ধর্মপল্লীর আড়ংসরিষা গ্রামে দুই দিন ব্যাপী প্রভু যীশুর গুণকীর্তন অনুষ্ঠান

গত ৩রা মে শনিবার, কৃষ্ণনগর ধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত চাপড়া ধর্মপল্লীর আড়ং সরিষা গ্রামে সাধু যোসেফের গির্জায় পালিত হল দুই দিন ব্যাপী প্রভু যীশুর গুণকীর্তন অনুষ্ঠান।
মহিমান্বিত খ্রীষ্টযাগের মধ্য দিয়ে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানটির শুভ সূচনা হয়। উদ্বোধন করেন কৃষ্ণনগর ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল ফাদার আশীষ (এস. ডি. বি.), যাঁর উপস্থিতি অনুষ্ঠানে বিশেষ গৌরব এনে দেয়।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন ৩০০-রও বেশি খ্রীষ্টভক্ত। গুণকীর্তন পরিবেশন করেন স্থানীয় ও আমন্ত্রিত কীর্তন দলগুলি, যাঁদের কণ্ঠে ও হৃদয়ে ভক্তির আবেগ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রার্থনা, সঙ্গীত ও ধ্যানের মাধ্যমে প্রভু যীশুর জীবনের বার্তা উপস্থিত সকলের হৃদয়ে পৌঁছে যায়।
বিশেষ এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ধর্মপল্লীর পুরোহিত, সিস্টার ও ক্যাথলিক সংঘের সদস্যরাও, যাঁরা সকলকে ঐক্য, প্রার্থনা ও সেবার বার্তা দেন। আন্তরিক ভক্তি ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই গুণকীর্তন অনুষ্ঠান প্রভু যীশুর প্রতি বিশ্বাস ও ভালবাসাকে আরও গভীরতর করে তোলে, এমনটাই মত অংশগ্রহণকারীদের।
চাপড়া ধর্মপল্লীর যাজক ও আড়ংসরিষা গ্রামের খ্রীষ্টভক্তগণ সুনিপুণভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন। দুই দিনের এই গুণকীর্তন শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি ছিল বিশ্বাসীদের মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য, ভালবাসা ও সেবার মন্ত্র গাঁথার এক অপূর্ব প্রয়াস।
অনুষ্ঠান শেষে প্রীতিভোজের মাধ্যমে ভক্তরা মিলিত হন ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে। ৪ঠা মে রবিবার, গুণকীর্তন শেষে গ্রামের সকল খ্রীষ্টভক্ত নাচগান করে নগর পরিক্রমা করেন।
আড়ংসরিষা গ্রামের ক্যাথলিক গির্জার সদস্য সত্যজিৎ মন্ডল বলেন "এই নগর পরিক্রমার মাধ্যমে অখ্রীষ্টান ভাইবোনেদের কাছেও প্রভু যীশুর শান্তির বার্তা পৌঁছে যাবে।" অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের জন্য প্রীতি ভোজনেরও ব্যবস্থা করা হয়।
এই গুণকীর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আড়ংসরিষা গ্রামে এক অনন্য আধ্যাত্মিক আবহ তৈরি হয়, যা প্রভু যীশুর মহিমা ও খ্রীষ্টীয় বিশ্বাসকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধির সুযোগ করে দেয়।
প্রতিবেদন - সৈকত মন্ডল
মালিয়াপোতা ধর্মপল্লী।