বোর্ণী সেন্ট লুইস উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো শিক্ষক ও বিদ্যালয় দিবস

গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সেন্ট লুইস উচ্চ বিদ্যালয় বোর্ণীতে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হলো শিক্ষক ও বিদ্যালয় দিবস।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও সভাপতির আসন অলংকৃত করেন যথাক্রমে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় শিক্ষা কমিশনের সেক্রেটারি ফাদার দিলীপ এস. কস্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ফাদার আন্তনী হাঁসদা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে প্রধান অতিথি ও বিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকগণকে নেচে-গেয়ে সাদর-সম্ভাসন জানিয়ে মঞ্চে নিয়ে আসে।
এরপরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলেই একতানে জাতীয় সংগীত গান পরিবশেন করেন এবং প্রধান অতিথি, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও উদ্বোধনী নৃত্যের পর প্রধান শিক্ষক ফাদার উত্তম রোজারিও স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “শিক্ষকগণ জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ধারক। শিক্ষকরা কেবল জ্ঞান দান করেন না, তারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে শেখার প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তোলেন, তাদের কল্পনাশক্তিকে উদ্দীপিত করেন এবং আশা তৈরি করেন।”
“সেন্ট লুইস উচ্চ বিদ্যালয়ে সেবাদানরত শিক্ষকদের অবদান, ধৈর্য ও পরিশ্রমের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের শুভ কামনা করেন,” ফাদার রোজারিও।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “সাধু লুইসের নামে উৎসর্গীকৃত এ বিদ্যলয়টি বিগত অর্ধশতকেরও বেশী সময় ধরে শিক্ষা বিস্তারে অসামান্য অবদান রেখে যাচ্ছে। আর এ কাজে শিক্ষকগণ সর্বদাই সহযোগি হিসেবে সহায়তা দান করে যাচ্ছেন।”
“বিদ্যালয় দিবস উযাপনের এই বিশেষ দিনে শিক্ষক দিবস উদযাপন করার বিষয়টি সত্যিই সুন্দর। সকল শিক্ষককে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য সমাপ্ত করেন,” ফাদার কস্তা।
বিদ্যালয়ের সভাপতি বলেন, “শিক্ষকগণ হলেন মানুষ গড়ার কারিগড়। তারা শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ করে তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন।”
“সেন্ট লুইস উচ্চ বিদ্যালয়ে সেবাদানরত প্রত্যেকজন শিক্ষককে এই শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা জানান এবং তাদের মঙ্গল কামনা করেন,” বিদ্যালয়ের সভাপতি।
শিক্ষক প্রতিনিধি মি. হিউবার্ট রোজারিও ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মার্টিন রড্রিক্স তাদের বক্তব্যে শিক্ষক দিবস উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সকলকে বিশেষভাবে সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং সেন্ট লুইস পরিবারের সকলের মঙ্গল কামনা করেন।
বক্তব্যমালা শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শুরু হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিকি অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য-গীত, আবৃত্তি ও অভিনয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা প্রকাশ করেন। - ফাদার উত্তম রোজারিও