ভারত: ছত্তিশগড়ে ক্যাথলিক নানদের আটকের নিন্দা জানিয়েছে নেসকম

আরভিএ সংবাদমাধ্যম| ০২ আগস্ট, ২০২৫
বিশপ অ্যালবার্ট হেম্ব্রম ছত্তিশগড়ে ক্যাথলিক নানদের আটকের ঘটনাকে মানবাধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন বলে ধিক্কার জানিয়েছেন।
ক্যাথলিক কানেক্টের আওতায় দেওয়া এক জোরালো বিবৃতিতে , ডিব্রুগড়ের বিশপ অ্যালবার্ট হেম্ব্রম, যিনি নর্থ ইস্ট সোশ্যাল কমিউনিকেশন (নেসকম) কমিশনের সভাপতিত্ব করেন, মধ্য ভারতের ছত্তিশগড়ে ক্যাথলিক নানদের সাম্প্রতিক আটকের নিন্দা করেছেন। বিষয়টিকে মানবাধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘন বলে তিনি অভিহিত করেছেন।
এই ঘটনাকে "ভারতে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং পদ্ধতিগত শত্রুতার একটি উদ্বেগজনক প্রতিফলন" হিসাবে বিশপ বর্ণনা করেন।
আটককৃত মেয়েরা সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক ছিল ও তাদের পিতামাতার সম্পূর্ণ অনুমতি নিয়ে তাদের সিস্টারদের সাথে ধর্মীয় কনভেন্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করার জন্য যাত্রা করছিলেন।
" তাদের সাথে জোরজবরদস্তি বা কোনও প্রতারণা করা হয়নি," NESCOM বিবৃতিতে স্পষ্ট জানান হয়েছে।
"ছত্তিশগড়ে যা ঘটেছে তা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়," বিশপ বলেন। "এটি একটি মিথ্যা, ঘৃণাপূর্ণ প্রচারণা যা আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের আত্মাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
বিশপ ঐক্য, ন্যায়বিচার এবং শান্তির জন্য জনসাধারণের আবেদনের কথাও উল্লেখ করেন।
ছত্তিশগড় খ্রীষ্টান ফোরামের সভাপতি অরুণ লাল এক বিবৃতিতে জানান, "কেরালার অভিযুক্ত ওই দুই কাথলিক নান আগ্রার মিশন হসপিটালে কর্মরত রেজিস্টার নার্স,ও ফার্মাসিস্ট। হসপিটালে কিচেনে কাজের জন্য ও রোগীদের খাবার পরিবেশনের জন্য কর্মী প্রয়োজন ছিল। সেই বিষয়ে রায়পুর ডায়োসিসের তিন জন মেয়ে ও এক তরুণ পিতা- মাতার অনুমতি নিয়েই সিস্টারদের সাথে কাজের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে"। যখন তারা ষ্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিল তখন আচমকাই ঘটনাটি ঘটে। যা অনৈতিক ও উদ্দেশ্য প্রোনোদিত।
অভিযুক্ত নানদের মুক্তির জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জোরালো প্রতিবাদ শুরু হয়।লোকসভার কিছু সদস্য জেলে গিয়ে নানদের সাথে দেখা করেন। প্রশাসন তৎপর হয়।ঈশ্বরের আশীর্বাদে নানদের বেল মঞ্জুর হয়। অনুলিখন – চন্দনা রোজারিও।