তুমিলিয়া ধর্মপল্লীর প্রতিপালক দীক্ষাগুরু সাধু যোহন এর পর্ব দিবস উদযাপন

ধর্মপল্লীর প্রতিপালক দীক্ষাগুরু সাধু যোহন এর পর্ব দিবস উদযাপন

গত ২০ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,  ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত তুমিলিয়া ধর্মপল্লীর প্রতিপালক দীক্ষাগুরু সাধু যোহন এর পর্ব দিবস উদযাপন করা হয়।

দীর্ঘ নয়দিন আধ্যাত্মিক প্রস্ততির পর এই পর্বদিব উদযাপিত হয়। নভেনা প্রার্থনা, পাপস্কীকার সাক্রামেন্ত ও নিরামিশ ভোজ পালনের মধ্যদিয়ে খ্রিস্টভক্তগন পর্বদিবসের জন্য আধ্যাত্মিক প্রস্ততি গ্রহণ করেন।

এই পর্বদিবসের পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলো ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত ফাদার কুঞ্জন কুইয়াসহ পার্শ্ববর্তী ধর্মপল্লীর পালপুরোহিতগণ সহ প্রায় ১০জন যাজক, ২জন ডিকন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সিস্টার, ব্রাদার ও সেমিনারীয়ান সহ প্রায় ২ হাজারের অধিক খ্রিস্টভক্তগণ।

উল্লেখ্য যে, পর্বদিনে দুটি খ্রিস্টযাগ উৎসগ করা হয়।  শোভাযাত্রার মাধ্যমে পবিত্র খ্রিস্টযাগ শুরু হয় এবং দীক্ষাগুরু সাধু যোহন গুনাবলী স্মরণ করে নয়টি উজ্জ্বলিত প্রদীপ স্থাপন করা হয় সাধু যোহন এর চরণ তলে। দীক্ষাগুরু সাধু যোহন এর মূতিতে পুষ্পমাল্য প্রধান করেন বিশপ সুব্রত গমেজ।

তুমিলিয়া ধর্মপল্লীর প্রতিপালক দীক্ষাগুরু সাধু যোহন এর পর্ব দিবস উদযাপন

পর্বীয় খ্রিস্টযাগের উপদেশ বাণীতে বিশপ সুব্রত গমেজ বলেন, “দীক্ষাগুরু সাধু যোহন তার জীবনদশায় সকল কিছু ছেড়ে মরুপ্রান্তরে পথে ঘাটে যীশুর আগমনের বাণী প্রচার করে গিয়েছেন অতি নম্র ও দরিদ্রবেশে। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা নিজেদের নম্র করতে পারিনা বরং নিজেদেরকে বড় করে ফুটিয়ে তোলতে গিয়ে অন্যায় ও পাপের পথগুলো বেছে নিচ্ছি। ”

বিশপ আরও বলেন, “দীক্ষাগুরু সাধু যোহন সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে তার শিরোচ্ছেদ করা হয়েছিল। এই জুবলী বছরে দীক্ষাগুরু সাধু যোহন এর জীবন ধ্যান করার মধ্যদিয়ে আমার আমাদের জীবন সুন্দর, পবিত্র, আধ্যাত্মিক সত্যময় করে তুলতে পারি।”

পবিত্র খ্রিস্টযাগের পর ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত ফাদার কুঞ্জন কুইয়া সকল খ্রিস্টভক্তদের, পর্ব উদযাপন কমিটি ও আগত সকল ফাদার, সিস্টারদের ধন্যবাদ প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, তুমিলিয়া ধর্মপল্লী ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের ২য় বৃহত্তম ধর্মপল্লী। পরিশেষে পর্বীয় প্রার্থনা কার্ড, বিস্কুট ও শেষ আশির্বাদের মধ্য দিয়ে এই পর্বদিবসের সমাপ্তি ঘোষণা করা করেন। - রিপন আব্রাহাম টলেন্টিনু