বাঁশদ্রোনি কুইন অব পিস চার্চে মহাসমারোহে হস্তার্পণ সংস্কার প্রদান
গত ২২ জুন ২০২৫,বাঁশদ্রোনি কুইন অব পিস ধর্মপল্লীর যুববৃন্দ ও সান্ডেস্কুলের ছেলেমেয়েদের খ্রীষ্টযাগে পবিত্র হস্তার্পণ সংস্কার প্রদান করা হল। ৫৪ জন প্রার্থী শুভ্র পোষাকে সজ্জিত হয়ে অতি ভক্তি সহকারে হস্তার্পণ সংস্কার গ্রহণ করে।
সমস্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলকাতার আর্চবিশপ মাননীয় থমাস ডি'সুজা।তাই দিনটি সকল পল্লীবাসীর কাছে ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আগ্রহের একটি দিন ।
ধর্মপল্লীর সব ভাষা-ভাষীর মানুষ একত্রে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিশপ মহোদয়কে উত্তরীয় ও পুষ্প স্তবক দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।তার পর শুরু হয় হিন্দি ভাষী ভাই বোনদের মাদলের ছন্দে সারি নৃত্য। আদিবাসী সম্প্রদায়ের অতিথি বরণের এ এক ঐতিহ্যবাহী নাচ যা সকল প্রাণে দোলা দেয়।
এরপর শুরু হয় মহা খ্রীষ্টযাগ। পাঁচজন পুরোহিত সম্মিলিত ভাবে এই খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন। পৌরহিত্য করেন আর্চবিশপ থমাস ডি'সুজা। সেদিন ছিল 'কর্পাস খ্রিষ্টি।'এই দিনটির বিশেষত্ব হল খ্রিস্টের দেহ ও রক্তের পার্বন দিবস।
উপদেশে বিশপ মহোদয় হস্তার্পণ সংস্কারের গুরুত্ব সুন্দর করে ব্যাখ্যা করেন। তিনি আরও বলেন, "খ্রীষ্টপ্রসাদের মাধ্যমে স্বয়ং যীশুখ্রিষ্ট আমাদের হৃদয়ে আসেন। শান্ত মনে তাঁকে উপলব্ধি করতে হবে ।তবেই আমরা পবিত্র আত্মাকে লাভ করব।"
এরপর তিনি সকল হস্তার্পণ প্রার্থীদের উঠে দাঁড়াতে বলেন ও বাপ্তিস্ম সংস্কারের শপথ গুলো পুনরুচ্চারণ করান ও শেষে একে একে হস্তার্পণ সংস্কার প্রদান করেন।
খ্রীষ্টযাগের শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একজন প্রার্থী।উত্তরে সুন্দর সুষ্ঠ অনুষ্ঠান পরিবেশনের জন্য বিশপ মহোদয় আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এরপর সকল প্রার্থীদের হাতে সংশাপত্র ও চকোলেট তুলে দেন বিশপ। একই সঙ্গে সান্ডেস্কুলের ছেলেমেয়েদের মধ্যে যারা প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছিল ,তাদের হাতে তিনি পুরস্কার তুলে দেন।
এরপর ফোটো শেষণ শেষে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
প্রতিবেদন - চন্দনা রোজারিও