নাগরী সাধু নিকোলাস ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠান

সাধু নিকোলাস ধর্মপল্লীতে প্রভু যীশুর দেহ ও রক্তের মহাপর্বের দিন অনুষ্ঠিত হলো প্রথম পাপস্বীকার ও খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার প্রদান অনুষ্ঠান

গত ২২ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,  নাগরী সাধু নিকোলাস ধর্মপল্লীতে প্রভু যীশুর দেহ ও রক্তের মহাপর্বের দিন অনুষ্ঠিত হলো প্রথম পাপস্বীকার ও খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।

দীর্ঘদিন আধ্যাত্নিক প্রস্তুতির পর নাগরী ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রামের ১০৪জন ছেলে-মেয়ে প্রথম পাপস্বীকার ও খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার গ্রহণ করে।

প্রভু যীশুর দেহ ও রক্তের মহাপর্বের খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ফাদার সানি আন্তনী কস্তা। তিনি তার উপদেশ বাণীতে রুটি ও দ্রাক্ষারসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন বলেন, “আজ তোমরা প্রথমবারের মতো এই রুটি ও দ্রাক্ষারসের আকারে প্রভু যীশুকে তোমাদের অন্তরে গ্রহণ করতে যাচ্ছ। যিনি নিজেই তোমাদের জন্য একটি জীবন্ত উপহার। আজকে থেকে তোমরা যীশুর সাথে আরও সুন্দরভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখবে।”   

ফাদার আরও বলেন, “তোমরা সব সময় মনে রাখবে, আজ থেকে তোমরা যীশুকে গ্রহণ করবে, যীশুকে ধারণ করবে এবং যীশুকে বহন করবে।”

সাধু নিকোলাস ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠান

সাতটি সাক্রামেন্তের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্রামেন্ত হলো খ্রীষ্টপ্রসাদ। আজকের এই দিনে তোমরা যে বিশ্বাস ও আকাঙ্খা নিয়ে যীশুকে খ্রীষ্টপ্রসাদের মাধ্যমে গ্রহণ করছ, সেই বিশ্বাস ও আকাঙ্খা যেন সারা জীবন ধরে রাখতে পার,” বলেন ফাদর কস্তা।

প্রথম খ্রীষ্টপ্রসাদ গ্রহণকারী একজন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, “আমার অনেক ইচ্ছা ছিল যে, খ্রীষ্টপ্রসাদ আকারে যীশুকে গ্রহণ করবো। আজ আমি খ্রীষ্টপ্রসাদ গ্রহণ করেছি তাই আমার অন্তরে একটা গর্ব যে আমি প্রভু যীশুকে গ্রহণ করতে পেরেছি।”

খ্রীষ্টযাগের শেষে খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রসংশাপত্র ও জপমালা এবং ছোট্ট একটি বই সবাইকে উপহার হিসাবে তুলে দেওয়া হয়। 

পরিশেষে ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত ফাদার খোকন ভিনসেন্ট গমেজ সব কিছুর জন্য সকলকে ধন্যবাদ প্রদান করেন। - পাঞ্জল টমাস রোজারিও