গত ৯ আগষ্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের সাধু পিতর সেমিনারিতে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ব আদিবাসী দিবস।
এই দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো আদিবাসীদের ভাষা, সংস্কৃতি, জমির অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষার দাবিকে শক্তিশালী করা।
এই দিবসকে কেন্দ্র করে মূলসুর হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে,, “আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভবিষ্যতে গঠনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার স্বার্থক প্রয়োগ”। আদিবাসী ভাই- বোনদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ প্রার্থনা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন বনপাড়া সেমিনারীর আধ্যাত্মিক পরিচালক ফাদার উজ্জ্বল রিবেরু, সাধু পিতর সেমিনারির পরিচালক ফাদার বিশ্বনাথ মারান্ডী ও সেমিনারিয়ানগণ।
ফাদার উজ্জ্বল রিবেরু বলেন, “আমাদের সংস্কৃতি রক্ষা ও চর্চায় জোর দিতে হবে। বর্তমান সময়ে আমাদের আদিবাসী ভাই -বোনদের সুন্দর কৃষ্টি সংস্কৃতি বিলীন হয়ে যাচ্ছে তাই আমাদের উচিত নিজ নিজ সংস্কৃতি চর্চা করা।”
“আমরা যখন নিজেরা চর্চা করব তখন অন্যরা অনুপ্রাণিত হবে। আজকের দিনে আমরা বিশ্বের সকল আদিবাসী ভাই ও বোনদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রার্থনা করি,” বলেন ফাদার রিবেরু।
সেমিনারির পরিচালক ফাদার বিশ্বনাথ মারান্ডী বলেন, “বাংলাদেশের আদিবাসী দিবস প্রতি বছর ৯ আগস্ট পালন করা হয়। এই দিনটি আসলে জাতিসংঘ ঘোষিত International Day of the World’s Indigenous Peoples এর সাথে মিল রেখে উদযাপিত হয়।”
তিনি আরও বলেন, “সেই ১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এই দিনটিকে ঘোষণা করে, যাতে সারা বিশ্বের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার, সংস্কৃতি ও জীবনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা যায়।”
বাংলাদেশে ১৯৯৫ সাল থেকে আদিবাসী নেতৃবৃন্দ ও সংগঠনগুলো দিনটি পালন শুরু করে। পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীরা এই দিনে র্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার মাধ্যমে তাদের ঐতিহ্য ও অধিকার তুলে ধরে।
এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আদিবাসীরা এই দেশেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাদের অধিকার রক্ষা করা সবার দায়িত্ব।
সান্তালি সংস্কৃতির একজন সেমিনারিয়ান শান্ত টুডু বলেন, “আজ অনেক আনন্দ লাগছে কারণ সারা বিশ্বে আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালন করা হয়। আজকের দিনে আমাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি”। - ডানিয়েল লর্ড রোজারিও
