রাঘবপুর সাধু যোসেফ ক্যাথলিক গির্জায় অনুষ্ঠিত হলো প্রথম পবিত্র খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠান
বিগত ২২ জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, রবিবার সকাল ৭ ঘটিকায় রাঘবপুর সাধু যোসেফ ক্যাথলিক গির্জায় অনুষ্ঠিত হলো প্রথম পবিত্র খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠান। পবিত্র খ্রীস্টপ্রসাদ সংস্কার অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয় রাঘবপুর সেন্ট পলস স্কুল প্রাঙ্গণে।
পবিত্র খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার প্রদান করেন যীশু সংঘ সমাজের কলকাতার প্রাদেশিক শ্রদ্ধেয় ফাদার আর্জেন্ট টেটে এস.জে. মহাশয়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাঘবপুর ধর্মপল্লীর মিশন সুপিরিয়র ফাদার জনসন পাাদিয়ারা এস.জে, রাঘবপুর ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার যেসেফ টোপ্পো এস.জে. মহাশয়, ফাদার কে.থোট্টাম এস.জে মহাশয় ও সহকারী অন্যান্য পাল পুরোহিতবর্গ।
রাঘবপুর সাধু যোসেফ গির্জার সাতটি সাব সেন্টার ও মূল গির্জার মোট ৫১ জন কিশোর-কিশোরীদের এই পবিত্র খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার প্রদান করা হয়।
সকাল সাতটায় উপাসনা আরম্ভ হয়। প্রবেশিকা নৃত্যের মাধ্যমে সকল খ্রীস্টপ্রসাদ গ্রহনযোগ্য কিশোর-কিশোরীদের স্বাগত জানানো হয়। এরপর উপাসনা বেদীর সামনে ফাদার আর্জেন্ট ও অন্যান্য পুরোহিতদের চন্দনের ফোঁটা ও পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং মূল উপাসনা আরম্ভ হয়।
যে সমস্ত কিশোর - কিশোরীরা খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার গ্রহণ করবে তাদের মধ্যে থেকেই প্রথম পাঠ ও দ্বিতীয় পাঠ করা হয়। পাল পুরোহিত মহাশয় মঙ্গল সমাচার পাঠ করেন এবং ফাদার আর্জেন্ট উপদেশ প্রদান করেন।
উৎসর্গের জন্য প্রত্যেক কিশোর-কিশোরীরা বিভিন্ন উৎসর্গ প্রভুর চরণে অর্পণ করে।
খ্রীষ্টযাগ শেষে সকল খ্রীস্টপ্রসাদ সংস্কার গ্রহণকারীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। সবশেষে কিশোর-কিশোরীদের জন্য টিফিনের ব্যবস্থা করা হয়।
উল্লেখ্য খ্রীষ্টীয় ক্যাথলিক মন্ডলীতে পবিত্র সাতটি সংস্কার রয়েছে যার মধ্যে খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার হল একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার। খ্রীষ্টবিশ্বাসীদের কাছে এই সংস্কার গ্রহণের মধ্যে দিয়ে রুটির আকারে প্রভু যীশুর দেহ ও রক্ত গ্রহণ করা হয়। যার ফলে আমরা আত্মীক ভাবে পরিপূর্ণ হয়ে উঠি।
একইভাবে উক্ত এই বিশেষ দিনে কিশোর-কিশোরীরা প্রথম খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার গ্রহণ করার মাধ্যমে তারাও আধ্যাত্মিক ভাবে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে এবং প্রভু যীশুর গৌরব মহিমা উপলব্ধি করতে পারবে।
প্রতিবেদন- তন্ময় মন্ডল